অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) থেকে :বরিশালের আগৈলঝাড়া শহীদ আ. রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজ কারিগরী শাখা প্রধানের খামখেয়ালিপনায় এক শিক্ষার্থীর জীবন থেকে ঝরে গেল দু’টি বছর। তারপরেও প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত শিক্ষিকার স্বামী একই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও আ’লীগ নেতা হেমায়েত উদ্দিন সাংবাদিকদের বাড়াবাড়ি না করার হুমকি দেন।
এক কলেজ ছাত্রী একই কলেজের শিক্ষককে বিয়ে করায় তাকে পরীক্ষা দিতে দেয়নি কারিগরী বিভাগের প্রধান। এতে ওই ছাত্রীর শিক্ষা জীবন থেকে ঝড়ে পরল দু’টি বছর। ভয়ে তারা মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা। উপজেলা সদরের উল্লেখিত কলেজের কারিগরী শাখার ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষার্থী সেতু মন্ডল জানান, সে ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের কারিগরী বিভাগের ছাত্রী ছিল। কলেজে ভর্তির আগেই ওই কলেজের ইংরেজী বিভাগের শিক্ষক মনিমোহন বৈরাগীর সাথে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়।
শিক্ষকের সাথে বিয়ের অপরাধে কলেজের কারিগরী শাখার কো-অডির্নেটর ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আ’লীগ নেতা হেমায়েত উদ্দিনের স্ত্রী সাফিনা হাসিন ওই ছাত্রীকে ফাইনাল পরীক্ষার ফরম পূরণ করেতে দেয়নি। ফলে গত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি সেতু। সাফিনা হাসিনের খামখেয়ালীপনায় ওই ছাত্রীর শিক্ষা জীবন থেকে দু’টি বছর ঝরে পরেছে। বিষয়টি গতকাল সোমবার জানাজানি হলে কলেজ এডহক কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবী চন্দ তার অফিস কক্ষে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজা খান, ওসি মনিরুল ইসলাম, অন্যান্য জনপ্রতিনিধিসহ সরকারী কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সাফিনা হাসিনকে ভর্ৎসনা করেন।
অভিযোগের ব্যাপারে সাফিনা হাসিনকে ফোন করলে তার স্বামী উপাধ্যক্ষ হেমায়েত উদ্দিন ফোন রিসিভ করে সাংবাদিকদের বাড়াবাড়ি না করে সংবাদ প্রকাশ না করার প্রচ্ছন্ন হুমকি দেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবী চন্দ বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত অমানবিক। সাফিনা হাসিন কারিগরী বোর্ডের কেউ নয়। অধ্যক্ষের প্রতিনিধি হিসেবে সে কারিগরী বোর্ডের দায়িত্ব পালন করলেও এমন অমানবিকতার জন্য উপস্থিত সকলেই তাকে তিরস্কার করেছে। ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষার্থীর আগামীতে পরীক্ষা নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরপরেও বিষয়টি আইনানুগভাবে খতিয়ে দেখা হবে।